[email protected] ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১
thecitybank.com

নাচোলে বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা

চাঁপাই জার্নাল ডেস্ক:

প্রকাশিত:
৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৮:৫১

ছবি: সংগ্রহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় ৯হাজার ৯৯০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষনিয়ে এগিয়ে চলেছে বোরোধানের চারা রোপণ। ইতোমধ্যে ৩হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে রোপণ কাজ শেষ হয়েছে।

এ উপজেলার বেশিরভাগ মানুষের জীবন-জীবিকা কৃষির উপর নির্ভরশীল। বছরে দুইবার ধান উৎপাদন করেন তারা। এরমধ্যে প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে আমন ধান এবং সেচের পানি ব্যবহার করে চাষাবাদ করা হয় ইরি ও বোরোধান। এখন বোরোধানের চারারোপণের মৌসুম।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াশা আর কনকনে ঠাণ্ডাকে উপেক্ষা করে গরু বা মহিষ দিয়ে লাঙ্গনের পরিবর্তে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে জমি তৈরি করে নিচ্ছেন কৃষকরা। পাশাপাশি বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে সেই তৈরি জমিতে রোপণ করছেন। কেউ বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প চালু করে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। কেউ আবার পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করে নিচ্ছেন। অনেকে জমির কাদাপানিতে নেমে মই টানছেন। কৃষি শ্রমিকরা কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে বীজতলা থেকে চারা তুলে বিকাল পর্যন্ত জমিতে সেই চারা রোপণ করছেন। সব মিলিয়ে শীতকে উপেক্ষা করে বোরোধান চাষাবাদ করতে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষি শ্রমিকরা।

উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের জমিন কমিন গ্রামের কৃষক সেরাজুল ইসলাম বলেন ৬ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে চারা রোপণ শুরু করে দিয়েছি। শীতের মৌসুম, শীত তো থাকবেই। শীতের ভয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে তো আর চলবে না।


রাওতাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলী জানান ২বিঘা বোরো ধানের চাষাবাদ করেছি। সরিষা তুলে আরো ২বিঘা চাষাবাদ করবো।


কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক সেলিম রেজা বলেন ৩বিঘা জমিতে বোরো চাষাবাদ শুরু করেছি। তবে বছরে ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে কয়েকদিন পরে চারা রোপণ করব।

উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ্ আকরাম বলেন, উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ৯হাজার ৯শত ৯০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে রোপণ কাজ শেষ হয়েছে।


এবছর বোরো মৌসুমে ৪হাজার ৫০জন কৃষককে সার ও বীজ কৃষি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর