[email protected] ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১
thecitybank.com

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপি নেতা জাকারিয়া-পাঠানের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

প্রকাশিত:
২১ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ০৯:০০

ছবি: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম জাকারিয়া এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ওবায়েদ পাঠান

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার শাহাজানপুর ইউনিয়নের যুবদলের সদস্য আব্দুল আওয়ালের মৃত্যুর পর জানাজার নামাজে অংশগ্রহন করার বিষয়কে ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম জাকারিয়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ওবায়েদ পাঠান।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বিএনপির আহবায়ক ওবায়েদ পাঠান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গোলাম জাকারিয়ার কয়েকটি ছবি শেয়ার করে প্রতিবাদ জানান।

এই বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ওবায়েদ পাঠান বলেন, আমাদের দলের একজন কর্মী মারা গেছেন আর তিনি (গোলাম জাকারিয়া) কীভাবে পিকনিক করতে পারেন। দলের হাইকমান্ডকে এই বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যাবস্থা নিতে আহবান জানাচ্ছি।

এছাড়া তিনি আরোও বলেন, তিনি ( গোলাম জাকারিয়া) শোক বার্তাও দিয়েছে পরেরদিন। এতো উদাসীন আহবায়ক যদি হয় কর্মীর ব্যাপারে তাহলে একটা দল কীভাবে চলতে পারে। এতো উদাসীন আহবায়ককে নিয়ে দল চালানো শো টাপ। আমরা সবাই তার (গোলাম জাকারিয়ার) পদত্যাগ দাবী করছি।

এই বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম জাকারিয়া বলেন, গত ১৮ তারিখে আমাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের সভা ছিল, যা আমরা আগে থেকে ঠিক করেছিলাম। সভা শেষ করে সবাইকে জানাজায় যাওয়ার আহবান জানিয়েছিলাম। লং মার্চে গিয়ে আমি পায়ে ব্যাথা পাওয়ার কারণে চিকিৎসা নিচ্ছিলাম সেজন্য জানাজায় যেতে পারিনি। এমনকি জানাজা কখন হবে সেটাও কেউ আমাকে জানাননি। এমত অবস্থায় আমি কিভাবে জানা যায় সামিল হবো।

এছাড়া তিনি আরোও বলেন, সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর কিছু ব্যাক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। এই বছরের ২৮ শে মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির জরুরী সভায় চাঁপাইনবাবাগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।

কমিটি বিলুপ্ত কারণ হিসেবে গোলাম জাকারিয়া জানান, কমিটির কোন কার্যকারিতা ছিলো না, তাছাড়া সদর উপজেলার আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিবসহ ২২ জন ওবায়েদ পাঠানের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছিলেন। তাই সর্ব সম্মতি ক্রমে পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে সদর উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

তাছাড়া তিনি আরোও বলেন, কমিটি বিলুপ্ত করার পরেও ওবায়েদ পাঠান নিজেকে সদর উপজেলা কমিটির আহবায়ক দাবী করেন, তার ( ওবায়েদ পাঠানের) সামাজিক ভাবে কোন গ্রহণ যোগ্যতা নাই। এই সমস্ত লো ক সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর।

কমিটির বিলুপ্ত বিষয়ে ওবায়েদ পাঠান বলেন, একক সিদ্ধান্তে কোন কমিটি বিলুপ্ত হবে না। কোন কমিটি বিলুপ্ত করতে হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম জাকরিয়া, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক এ্যাড. রফিকুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামের সিদ্ধান্তে কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে। গত ২৮ মার্চ তার একক স্বাক্ষরিত একটা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন, যার কোন ভিত্তি নেই।

এছাড়া ওবায়েদ পাঠান কমিটি বিলুপ্তির বিষয়ে প্রশ্ন রেখে বলেন, যদি ২৮ শে মার্চ কমিটি বিলুপ্ত করা হয়, তাহলে তিনি (গোলাম জাকরিয়া) কমিটি বিলুপ্তির পর আমার সাথে একসাথে প্রোগাম করলেন কেন?

কমিটি বিলুপ্তির পর ওবায়েদ পাঠানের সাথে একসাথে প্রোগাম করার বিষয়ে গেলাম জাকারিয়া বলেন, আমি তার সাথে কোন প্রোগাম করিনি। তাকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিক (চাইনিজ) নিয়ে একসাথে প্রোগাম করতে পারে।

এই বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম (রফিক চাইনিজ) এর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর