প্রকাশিত:
১৪ আগষ্ট ২০২৩, ০৪:০৭
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কৃতি সন্তান ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জিল্লার রহমান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবাদুল কাদের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা যায়।
মো. জিল্লার রহমান। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব। তিনি নরসিংদী ও ঢাকার জেলা প্রশাসক ছিলেন। পরে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও সর্বশেষ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর অবসরে যান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার এই কৃতি সন্তান।
শিবগঞ্জ উপজেলার দূর্লভপুর ইউনিয়নের বালুটুঙ্গী গ্রামের মরহুম আব্দুল খালেক বিশ্বাসের ছেলে জিল্লার রহমান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি নিয়ে ১৯৮৪ সালের বিসিএস-এ উত্তীর্ণ হয়ে যোগ দেন প্রশাসনে। তিনি সুদীর্ঘ সময় সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। জিল্লার রহমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্যের আইসিপিএস, সুইজারল্যান্ডের ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন, শ্লোভেনিয়ার লুব্লিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডস থেকে বিভিন্ন বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি নেন।
চাঁপাইনবাবাগঞ্জ জেলার এই কৃতি সন্তান চাঁপাই নবাবগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতাল, কিডনি ফাউন্ডেশন, হার্ট ফাউন্ডেশন, শিবগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও শিবগঞ্জ প্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন জিল্লার রহমান।
এছাড়া অবসরের পর থেকে রাজনীতির মাঠে মুখ চেনান জিল্লার রহমান। বর্তমানে চাঁপাই নবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে তাকে ঘিরে। পুরোদস্তুর রাজনীতিক হিসেবেই মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন এই কর্মকর্তা। রাজনীতির মাঠে দেখার পর সাবেক এই সচিবকে নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।
জানা গেছে, অবসর নেয়ার পর ফুলটাইম রাজনীতিক হিসেবে কাজ শুরু করেছেন জিল্লার রহমান। তার শিবগঞ্জ বাজারের বাসভবনে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের যাতায়াত। সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিধিদের অনেককেই তার বাসভবনে দেখা গেছে। শিবগঞ্জের রাজনীতিতে অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন: