আমের মৌসুম শেষে এখনো জমজমাট দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম কানসাট আম বাজার। এই বাজারে প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকার আম বেচাকেনা হয়। তবে আমচাষিদের দাবি- নায্য দাম পাচ্ছেন না তারা।
মৌসুম শেষে এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে আশ্বিনা ও কাটিমন জাতের আম। এছাড়া আশ্বিনা আম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪-৫ হাজার টাকা মণ ও কাটিমন ৫-৬ হাজার টাকা মণ দরে।
আম চাষিরা বলছেন, মৌসুম শেষের পথেও কানসাট বাজারে জমজমাট আম বেচাকেনা চলছে। তবে এ বছর সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় আমের দাম কমে গেছে। তাই চাষিদের বাঁচাতে সরকারি প্রণোদনা প্রয়োজন।
তবে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এই বছর আমের উৎপাদন বেশি হওয়ার কারণে আমের দাম কিছুটা কম পাচ্ছেন চাষিরা।
নাচোল উপজেলার আমচাষি রুবেল হক বলেন, কানসাট আম বাজারে এখনো প্রতিদিন ভালো আম আসছে এবং বিক্রিও হচ্ছে। সকাল হলেই বাজারের আশপাশ আমের ভ্যানে ভর্তি হয়ে যায়। এবার আমার দুই বিঘা জমিতে আশ্বিনা জাতের আম চাষ করেছি। ভেবেছিলাম মৌসুমের শেষে এই জাতের আমে কিছুটা ভালো দাম পাব, কিন্তু দাম পেলাম না। যে দামে আম বিক্রি হচ্ছে এই টাকা দিয়ে উৎপাদন খরচ উঠছে না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ম্যাংগো ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আহসান হাবিব বলেন, এখনো কানসাট বাজারে ভালো আম বেচাকেনা চলছে। তবে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় আমের দাম কমে এসেছে। তাই চাষিদের বাঁচাতে সরকারি প্রণোদনা প্রয়োজন।
শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার নয়ন মিয়া জানান, এ বছর আমের উৎপাদন বেশি হয়েছে। তাই বাজারে সরবরাহ বেশি থাকলে দাম কমে যাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমচাষিদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এতে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৮৬ হাজার টন।
ডেস্ক/ই.ই
মন্তব্য করুন: