[email protected] ঢাকা | রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫, ২৯শে আষাঢ় ১৪৩২
thecitybank.com

ভোলাহাটে ফিলিং স্টেশন বন্ধে এলাকাবাসীর ক্ষোভ, চালু করার দাবীতে আবেদন

উপজেলা সংবাদদাতা:

প্রকাশিত:
১২ জুলাই ২০২৫, ২০:১২

ছবি: সংগ্রহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে পরিবহন ব্যবসায়ী,কৃষক, সাধারণ মানুষসহ এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত একটি ফিলিং স্টেশন প্রতিষ্ঠা করায় একটি চক্র এ ফিলিং স্টেশনটির বিরুদ্ধে বারবার মামলা দিয়ে বাধাগ্রস্থ করছে।

ফিলিং স্টেশনটি বন্দের প্রতিবাদ ও দ্রুত চালুর দাবিতে ভোলাহাট উপজেলার পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর একটি আবেদন দিয়েছেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে ফিলিং স্টেশনের মালিক আব্দুল লতিফ ভোলাহাট কানসাট সড়কের খালেআলমপুর গ্রামের মুসলিমপুর এলাকায় সরকারি সকল আইনি প্রক্রিয়া সর্ম্পূন করে মেসার্স ভোলহাট ফিলিং স্টেশন প্রতিষ্ঠা করেন।

ফিলিং স্টেশনটি প্রতিষ্ঠা হওয়ায় পরিবহন ব্যবসায়ী,কৃষক,শ্রমিক এলাকাবাসী আনন্দিত কারণ হাত বাড়ালেই তারা ডিজেল, প্রেটোল আকটেন, কেরোসিনসহ যাবতীয় জ¦ালানী পূন্য ক্রয় করতে পারবেন। পরিবহন ব্যবসায়ী, কৃষক ও শ্রমিকগণ রহনপুর, গোমস্তাপুর,কানসাট ও শিবগঞ্জ হতে এসব জ¦ালানী ক্রয় করতো। এতে করে তাদের সময় অপচয় ও অতিরিক্ত টাকা গুনতে হত।

ব্যবসায়ী শাখাওয়াত হোসেন মজু জানান, ফিলিং স্টেশন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই থেকে ঐ এলাকায় নুরুল আহমেদ খন্দকার ফিলি স্টেশনের মালিকের সাথে জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই মামলা চালিয়ে আসছিল। ২০২৪ সালে নুরুল আহম্মেদ খন্দকারের এর মামলাগুলি আদালত কর্তৃক খারিজ হয়ে যায়। পরে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে তার কন্যা মোসাঃ নাসরিন আরা পারভিন হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন।

চালু হতে যাওয়া ফিলিং স্টেশনটি বন্ধ হওয়ায় এলাকাবাসী চরম ক্ষুদ্ধ হয়ে পাঁচ শতাধিক স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর ফিলিং স্টেশনটি চালুর দাবিতে একটি আবেদন দিয়েছেন। ভোলাহাট মোহবুল্লাহ কলেজের প্রভাষক নূরে এ আলম মুক্তা বলেন ফিলিং স্টেশনটি ভোলহাটবাসীর জন্য খুবই জরুরি কেননা ভোলাহাট উপজেলাটি মূলত কৃষিনির্ভর এলাকা। ফিলিং স্টেশনটি চাল হলে কৃষকগণ খুব সহজেই ডিজেলসহ অন্যান্য জ¦ালানী সামগ্রী পাবে।

ভোলাহাট উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ভোলাহাটে একটি ফিলিং স্টেশন হওয়া জরুরি। এখানে ফিলিং স্টেশন চালু হলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে। রিট পিটিশন দায়েরের বিষয়ে বাদী নাসরিন আরা পারভিন এর ব্যবহৃত ০১৭৫০৪১৪০৬১ মোবাইল নং একাধিক বার কল দিলে তার নং বন্ধ পাওয়া যায়।

ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের মালিক আব্দুল লতিব জানান, আমি বহু চড়াই উৎরায় পেরিয়ে ভোলহাট বাসীর সুবিধার্থে একটি ফিলিং স্টেশন প্রতিষ্ঠা করেছি। ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনটি নির্মিত হওয়ায় সাধারণ জনগন অনেক উপকৃত হবে। নুরুল আহমেদ খন্দকার ফিলিং স্টেশন এর জায়গা নিয়ে মামলা দায়ের করেছিল যা ২০২৪ সালে আদালত কর্তৃক খারিজ হয়ে যায়।

এখন নুরুল আহমেদ খন্দকারের মেয়ে নাসরিন আরা পারভিন মূলত হিংসার বশবর্তী হয়ে এ রিট পিটিশন করেছেন। ইনশাআল্লাহ ভবির্ষতে তার রিট পিটিশন বাতিল হবে এবং ভোলাহাট বাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত ফিলিং স্টেশন চালু হবে। ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, ভোলাহাটে একটি ফিলিং স্টেশন জরুরি। কেননা এলাকাটি কৃষি নির্ভর এলাকা ও বড় বড় আম বাগান রয়েছে। এছাড়া আমাদের প্রশাসনিক কাজে ব্যবহৃত গাড়িগুলোতেও পাশ^বর্তী উপজেলা হতে তেল নিতে হয়।

রাব্বি হোসেন/ই.ই


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর