প্রকাশিত:
১৯ মে ২০২৫, ১৮:৫৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বারোঘরিয়ায় সরকারি খাস জায়গায় দোকানঘর নির্মাণ কার্যক্রমের প্রতিবাদে প্রায় আড়াই ঘন্টা রাজশাহী-সোনামসজিদ সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধরা। সোমবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর বারোঘরিয়া প্রান্তে সড়ক অবরোধ করা হয়।
সড়ক অবরোধের কারনে রাজশাহী-সোনামসজিদ সড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা যায়। আটকা পড়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে ছেড়ে আসা পন্যবাহী ট্রাক। অবরোধ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি হারুনুর রশীদ।
এসময় অবরোধকারীরা বলেন, বারোঘরিয়া বাজারে সরকারি খাস জায়গায় হাট বসে। সেই জায়গায় হঠাৎ করে দোকানঘর নির্মাণ করতে ইাজারা দিয়েছে ভূমি অফিস। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ বন্ধ করতে হবে। পরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হারুনুর রশীদের নির্দেশে নির্মাণাধীন দোকানঘর ভাংচুর করা হয়৷ এসময় দুই দিনের মধ্যে ইজারা বাতিলের হুশিয়ারি দিয়ে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হারুনুর রশীদ বলেন, সড়ক অবরোধের কারনে জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে। তা আমরা বুঝি। কিন্তু এর জন্য দায়ী জেলা প্রশাসক, ইউএনও ও এসিল্যান্ড। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে হাট বসে। সেই জায়গায় অর্থের বিনিময়ে ইজারা দিয়ে দোকানঘর নির্মাণ করছে প্রশাসন। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসিল্যান্ডকে দফায় দফায় বলেও তারা দোকানঘর নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে একাজ করে জনভোগান্তি সৃষ্টি করেছে। আমাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা হাটের জায়গায় হাট বসবে। দাবি আদায় না হলে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাওয়ের মতো কঠোর কর্মসূচি দিয়ে ডিসি, ইউএনওকে বিদায় করা হবে।
এবিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছমিনা খাতুন জানান, উপজেলা থেকে ইজারা দেয়া হাটের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। অন্যদিকে অন্য খাস জায়গায় হাট বসিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। যেই জায়গায় দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে তা সরকারি খাস জায়গা। সকল নিয়ম মেনেই সরকারি খাস জায়গা ইজারা দেয়া হয়েছে। হাটের জায়গায় হাট বসবে, সরকারি খাস জায়গায় দোকানঘর নির্মাণ করে রাজস্ব আদায় করা হবে। এমন সীধান্তের কারনে কিছু অবৈধ দখলদারদের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়েছে। তবে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
জা.আ/আআ
মন্তব্য করুন: